Recent in Recipes

3/Food/post-list

mmm

No comments :

 




yyy

No comments :

 






ok

No comments :

 আত্মবিলাপ

- মাইকেল মধুসূদন দত্ত

আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু, হায়,

তাই ভাবি মনে?

জীবন-প্রবাহ বহি কাল-সিন্ধু পানে যায়,

ফিরাবো কেমনে?

দিন-দিন আয়ুহীন হীনবল দিন-দিন ,--

তবু এ আশার নেশা ছুটিল না ? এ কি দায়!



রে প্রমত্ত মন মম! কবে পোহাইবে রাতি?

জাগিবি রে কবে?

জীবন-উদ্যানে তোর যৌবন-কুসুম-ভাতি

কত দিন র'বে?

নীরবিন্ধু, দূর্বাদলে, নিত্য কিরে ঝলঝলে?

কে না জানে অম্বুবিম্ব অম্বুমুখে সদ্যঃপাতি?



নিশার স্বপন-সুখে সুখী যে কী সুখ তার?

জাগে সে কাঁদিতে!

ক্ষণপ্রভা প্রভা-দানে বাড়ায় মাত্র আঁধার

পথিকে ধাঁদিতে!

মরীচিকা মরুদেশে, নাশে প্রাণ তৃষাক্লেশে--

এ তিনের ছল সম ছল রে এ কু-আশার।




প্রেমের নিগড় গড়ি পরিলি চরণে সাধে

কী ফল লভিলি?

জ্বলন্ত-পাবক-শিখা-লোভে তুই কাল ফাঁদেযশোলাভ লোভে আয়ু কত যে ব্যয়িলি হায়,শতমুক্তাধিক আয়ু কালসিন্ধু জলতলেকাটিতে তাহারে?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?












অনিদ্রায়?





এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?


মাৎসর্য-বিষদশন, কামড়ে রে অনুক্ষণ!

এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?


কব তা কাহারে?

সুগন্ধ কুসুম-গন্ধে অন্ধ কীট যথা ধায়,

কাটিতে তাহারে?

মাৎসর্য-বিষদশন, কামড়ে রে অনুক্ষণ!

এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?



মুকুতা-ফলের লোভে, ডুবে রে অতল জলে

যতনে ধীবর,

শতমুক্তাধিক আয়ু কালসিন্ধু জলতলে

ফেলিস, পামর!

ফিরি দিবি হারাধন, কে তোরে, অবোধ মন,

হায় রে, ভুলিবি কত আশার কুহক-ছলে!

উড়িয়া পড়িলি

পতঙ্গ যে রঙ্গে ধায়, ধাইলি, অবোধ, হায়

না দেখলি না শুনিলি, এবে রে পরাণ কাঁদে



বাকি কি রাখিলি তুই বৃথা অর্থ-অন্বেষণে,

সে সাধ সাধিতে?

ক্ষত মাত্র হাত তোর মৃণাল-কণ্টকগণে

কমল তুলিতে

নারিলি হরিতে মণি, দংশিল কেবল ফণী

এ বিষম বিষজ্বালা ভুলিবি, মন, কেমনে!



যশোলাভ লোভে আয়ু কত যে ব্যয়িলি হায়,

কব তা কাহারে?

সুগন্ধ কুসুম-গন্ধে অন্ধ কীট যথা ধায়,

কাটিতে তাহারে?

মাৎসর্য-বিষদশন, কামড়ে রে অনুক্ষণ!

এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?



মুকুতা-ফলের লোভে, ডুবে রে অতল জলে

যতনে ধীবর,

শতমুক্তাধিক আয়ু কালসিন্ধু জলতলে

ফেলিস, পামর!

ফিরি দিবি হারাধন, কে তোরে, অবোধ মন,

হায় রে, ভুলিবি কত আশার কুহক-ছলে!

আত্মবিলাপ

No comments :


 আত্মবিলাপ

- মাইকেল মধুসূদন দত্ত

আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু, হায়,

তাই ভাবি মনে?

জীবন-প্রবাহ বহি কাল-সিন্ধু পানে যায়,

ফিরাবো কেমনে?

দিন-দিন আয়ুহীন হীনবল দিন-দিন ,--

তবু এ আশার নেশা ছুটিল না ? এ কি দায়!



রে প্রমত্ত মন মম! কবে পোহাইবে রাতি?

জাগিবি রে কবে?

জীবন-উদ্যানে তোর যৌবন-কুসুম-ভাতি

কত দিন র'বে?

নীরবিন্ধু, দূর্বাদলে, নিত্য কিরে ঝলঝলে?

কে না জানে অম্বুবিম্ব অম্বুমুখে সদ্যঃপাতি?



নিশার স্বপন-সুখে সুখী যে কী সুখ তার?

জাগে সে কাঁদিতে!

ক্ষণপ্রভা প্রভা-দানে বাড়ায় মাত্র আঁধার

পথিকে ধাঁদিতে!

মরীচিকা মরুদেশে, নাশে প্রাণ তৃষাক্লেশে--

এ তিনের ছল সম ছল রে এ কু-আশার।



প্রেমের নিগড় গড়ি পরিলি চরণে সাধে

কী ফল লভিলি?

জ্বলন্ত-পাবক-শিখা-লোভে তুই কাল ফাঁদে

উড়িয়া পড়িলি

পতঙ্গ যে রঙ্গে ধায়, ধাইলি, অবোধ, হায়

না দেখলি না শুনিলি, এবে রে পরাণ কাঁদে



বাকি কি রাখিলি তুই বৃথা অর্থ-অন্বেষণে,

সে সাধ সাধিতে?

ক্ষত মাত্র হাত তোর মৃণাল-কণ্টকগণে

কমল তুলিতে

নারিলি হরিতে মণি, দংশিল কেবল ফণী

এ বিষম বিষজ্বালা ভুলিবি, মন, কেমনে!



যশোলাভ লোভে আয়ু কত যে ব্যয়িলি হায়,

কব তা কাহারে?

সুগন্ধ কুসুম-গন্ধে অন্ধ কীট যথা ধায়,

কাটিতে তাহারে?

মাৎসর্য-বিষদশন, কামড়ে রে অনুক্ষণ!

এই কি লভিলি লাভ, অনাহারে, অনিদ্রায়?



মুকুতা-ফলের লোভে, ডুবে রে অতল জলে

যতনে ধীবর,

শতমুক্তাধিক আয়ু কালসিন্ধু জলতলে

ফেলিস, পামর!

ফিরি দিবি হারাধন, কে তোরে, অবোধ মন,

হায় রে, ভুলিবি কত আশার কুহক-ছলে!

wow

No comments :

 She's one of the most promising actors from the new lot of talent ruling the Indian film industry right now, and Janhvi Kapoor's quite a natural. She has impressed everyone with a different array of roles she has opted for, and also with her breathtaking beauty, which she has inherited from her late mother, the legendary Sridevi.

But, being naturally beautiful does not mean that Janhvi doesn't have to take care of her skin, in fact she has to maintain her skin on a regular basis just like any one of us. We caught up with the stunning Kapoor lady, and she revealed two secrets behind her glowing skin.



The pretty actress began by stressing that one should have a lot of water, and later gave away her two beauty mantras. "You should have a lot of water and you should always be in a happy frame of mind because when you are happy, you have this different kind of glow on your face," said Janhvi.

She also went onto share yet another beauty hack which can be tried at the comfort of your home. " Jo bhi nashte mein bacha kuch fruit hai, usko face pe daal lo doodh aur malai ke sath mix karke (Make use of the leftover fruits from breakfast and apply them on the face after mixing with milk and cream)," suggested Janhvi.

Besides the fact that they hydrate and rejuvenate your skin, the very smell of a fruit on your face is quite de-stressing.

Watch the video of Janhvi sharing her beauty secrets.



Well, that's not all! A few months ago the stunner had also revealed that she loves to apply her leftover oatmeal on her face. Oatmeal is one cereal which is known for its many health benefits. When applied on the face, this nutritious grain can help solve many beauty woes. Loaded with antioxidant and anti-inflammatory properties, it helps to soothe dry and irritated skin.

Guess we are surely going to try out Janhvi's beauty hacks, tell us what do you think of them in the comment section below.

modusudon

No comments :

 



মেঘনাদবধ কাব্য (তৃতীয় সর্গ)

- মাইকেল মধুসূদন দত্ত

প্রমোদ-উদ্যানে কাঁদে দানব-নন্দিনী

প্রমীলা, পতি-বিরহে কাতরা যুবতী।

অশ্রুআঁখি-বিধুমুখী ভ্রমে ফুলবনে

কভু,ব্রজ-কুঞ্জ-বনে,হায়রে, যেমনি

ব্রজবালা,নাহি হেরি কদম্বের মূলে

পীতধড়া পীতাম্বরে,অধরে মূরলী।

অবচয়ি ফুল-চয়ে সে নিকুঞ্জ বনে,

বিষাদে নিশ্বাস ছাড়ি,সখীরে সম্ভাষি

কহিলা প্রমীলা সতী; “এইত তুলিনু

ফুলরাশি; চিকনিয়া গাঁথিনু,স্বজনি,

ফুলমালা;কিন্তু কোথা পাব সে চরণে,

পুস্পাঞ্জলি দিয়া যাহে চাহি পূজিবারে;

কে বাঁধিল মৃগরাজে বুঝিতে না পারি।

চল,সখি, লঙ্কাপুরে যাই মোরা সবে।”

কহিল বাসন্তী সখী;–“কেমনে পশিবে

লঙকাপুরে আজি তুমি? অলঙ্ঘ্য সাগর-

সম রাঘবীয় চমূ বেড়িছে তাহারে;

লক্ষ লক্ষ রক্ষঃ- অরি ফিরিছে চৌদিকে

অস্ত্রপাণি,দন্ডপাণি দন্ডধর যথা”

রুষিলা দানব-বালা প্রমীলা রূপসী;–

“কি কহিলি, বাসন্তি? পর্ব্বত-গৃহ ছাড়ি,

বাহিরায় যবে নদী সিন্ধুর উদ্দেশে,

কার হেন সাধ্য যে সে রোধে তার গতি?

দানব-নন্দিনী আমি,রক্ষ-কুল-বধূ;

রাবণ শ্বশুর মম, মেঘনাদ স্বামী,–

আমি কি ডরাই,সখি,ভিখারী রাঘবে?

পশিব লঙ্কায় আজি নিজ ভূজ-বলে;

দেখিব কেমনে মোরে নিবারে নৃমনি?

যথা বায়ু-সখা সহ দাবানল গতি

দুর্ব্বার,চলিলা সতী পতির উদ্দেশে।

টলিল কনক-লঙ্কা, গর্জ্জিল জলধি;

ঘনঘনাকারে রেণু উড়িল চৌদিকে;–

কিন্তু নিশা-কালে কবে ধূম-পুঞ্জ পারে

আবরিতে অগ্নি-শিখা? অগ্নিশিখা-তেজে

চলিলা প্রমীলা দেবী বামা-বল-দলে।

কতক্ষনে উতরিলা পশ্চিম দুয়ারে

বিধুমুখী। একবারে শত শঙ্খ ধরি

ধ্বনিলা, টঙ্কারি রোষে শত ভীম ধনুঃ,

স্ত্রীবৃন্দ; কাঁপিল লঙকা আতঙ্কে; কাঁপিল

মাতঙ্গে নিষাদী; রথে রথী; তুরঙ্গমে

সাদীবর; সিংহাসনে রাজা;অবরোধে

কুলবধূ; বিহঙ্গম কাঁপিল কুলায়ে;

পর্ব্বত-গহ্বরে সিংহ; বন-হস্তী বনে

ডুবিল অতল জলে জলচর যত ;

শিবিরে বসেন প্রভু রঘু-চুড়ামণি

করপুটে শূর-সিংহ লক্ষণ সম্মুখে,

পাশে বিভীষণ সখা, আর বীর যত,

রুদ্র-কুল-সমতেজঃ,ভৈরব মুরতি ।

সহসা নাদিল ঠাট; ‘জয় রাম’-ধ্বনি

উঠিল আকাশ-দেশে ঘোর কোলাহলে,

সাগর-কল্লোল যথা; ত্রস্তে রক্ষোরথী,

দাশরথি-পানে চাহি, কহিলা কেশরী,–

“চেয়ে দেখ,রাঘবেন্দ্র, শিবির-বাহিরে।

নিশীথে কি ঊষা আসি উতরিলা হেথা?”

বিস্ময়ে চাহিলা সবে শিবির-বাহিরে।

“ভৈরবীরূপিণী বামা,” কহিলা নৃমণি,

“দেবী কি দানবী,সখে, দেখ নিরখিয়া;

মায়াময় লঙ্কা-ধাম; পূর্ণ ইন্দ্রজালে;

কামরূপী তবাগ্রজ। দেখ ভাল করি;

এ কুহক তব কাছে অবিদিত নহে।

শুভক্ষণে, রক্ষোবর,পাইনু তোমারে

আমি। তোমা বিনা,মিত্র,কে আর রাখিবে

এ দুর্ব্বল বলে,কহ,এ বিপত্তি-কালে?

রামের চির-রক্ষণ তুমি রক্ষঃপুরে;”

হেনকালে হনু সহ উতরিলা দূতী

শিবিরে। প্রণমি বামা কৃতাঞ্জলিপুটে,

(ছত্রিশ রাগিণী যেন মিলি এক তানে;)

কহিলা; “প্রণমি আমি রাঘবের পদে,

আর যত গুরুজনে;— নৃ-মুন্ড-মালিনী

নাম মম;দৈত্যবালা প্রমীলা সুন্দরী,

বীরেন্দ্র-কেশরী ইন্দ্রজিতের কামিনী,

তাঁর দাসী।” আশীষিয়া, বীর দাশরথি

সুধিলা; “কি হেতু,দূতি, গতি হেথা তব?

বিশেষিয়া কহ মোরে, কি কাজে তুষিব

তোমার ভর্ত্রিনী,শুভে? কহ শীঘ্র করি;”

উত্তরিলা ভীমা-রূপী; “বীর-শ্রেষ্ঠ তুমি,

রঘুনাথ; আসি যুদ্ধ কর তাঁর সাথে;

নতুবা ছাড়হ পথ; পশিবে রূপসী

স্বর্ণলঙ্কাপুরে আজি পূজিতে পতিরে।”

এতেক কহিয়া বামা শিরঃ নোয়াইলা,

প্রফুল্ল কুসুম যথা (শিশির মন্ডিত)

বন্দে নোয়াইয়া শিরঃ মন্দ-সমীরণে;

উত্তরিলা রঘুপতি; ”শুন, সুকেশিনী,

বিবাদ না করি আমি কভু অকারণে।

অরি মম রক্ষ-পতি; তোমরা সকলে

কুলবালা,কুলবধূ; কোন অপরাধে

বৈরি-ভাব আচরিব তোমাদেরসাথে?

আনন্দে প্রবেশ লঙ্কা নিঃশঙ্ক হৃদয়ে”।

এতেক কহিয়া প্রভু কহিলা হনুরে;–

“দেহ ছাড়ি পথ, বলি। অতি সাবধানে,

শিষ্ট আচরণে তুষ্ট কর বামা-দলে।”

প্রণমিয়া সীতানাথে বাহিরিলা দূতী

হাসিয়া কহিলা মিত্র বিভীষণ “দেখ,

প্রমীলার পরাক্রম দেখ বাহিরিয়া,

রঘুপতি;দেখ, দেব, অপূর্ব কৌতুক।

না জানি এ বামা-দলে কে আঁটে সমরে

ভীমারূপী, বীর্য্যবতী চামুন্ডা যেমতি–

রক্তবীজ-কুল-অরি?” কহিলা রাঘব;–

”চল, মিত্র, দেখি তব ভ্রাতৃ-পুত্র-বধূ।”

যথা দূর দাবানল পশিলে কাননে,

অগ্নিময় দশ দিশ; দেখিলা সম্মুখে

রাঘবেন্দ্র বিভা-রাশি নির্ধূম আকাশে,

সুবর্নি বারিদপুঞ্জে; শুনিলা চমকি

কোদন্ড-ঘর্ঘর ঘোর,ঘোড়া-দড়বড়ি,

হুহুঙ্কার,কোষে বদ্ধ অসির ঝনঝনি।

সে রোলের সহ মিশি বাজিছে বাজনা,

ঝড় সঙ্গে বহে যেন কাকলী লহরী;

উড়িছে পতাকা —রত্ন-সঙ্কলিত-আভা;

মন্দগতি আস্কন্দিতে নাচে বজী রাজী;

বোলিছে ঘুঙ্ঘুরাবলী ঘুনু ঘুনু বোলে।

গিরিচূড়াকৃতি ঠাট দাঁড়ায় দুপাশে

অটল,চলিছে মধ্যে বামা-কুল-দল;

উপত্যকা-পথে যথা মাতঙ্গিনী-যূথ,

গরজে পূরিয়া দেশ, ক্ষিতি টলমলি।

সর্ব-অগ্রে উগ্রচন্ডা নৃ-মুন্ডমালিনী,

কৃষ্ণ-হয়ারূঢ়া ধনী, ধ্বজ-দন্ড করে

হৈমময়; তার পাছে চলে বাদ্যকরী,

বিদ্যাধরী-দল যথা, হায় রে ভূতলে

অতুলিত; বীণা বাঁশী, মৃদঙ্গ, মন্দিরা-

আদি যন্ত্র বাজে মিলি মধুর নিক্কণে;

তার পাছে শূল-পাণি বীরাঙ্গনা-মাঝে

প্রমীলা,তারার দলে শশিকলা যথা;

চলি গেলা বামাকুল। কেহ টঙ্কারিলা

শিঞ্জিনী; হুঙ্কারি কেহ উলঙ্গিলা অসি;

আস্ফালিলা শূলে কেহ; হাসিলা কেহ বা

অট্টহাসে টিটকারি; কেহ বা নাদিলা,

গহন বিপিনে যথা নাদে কেশরিণী,

বীর-মদে, কাম-মদে উন্মাদ ভৈরবী;

লক্ষ্য করি রক্ষোবরে, কহিলা রাঘব;–

”কি আশ্চর্য্য, নৈকষেয়? কভু নাহি দেখি,

কভু নাহি শুনি হেন এ তিন ভুবনে;

নিশার স্বপন আজি দেখিনু কি জাগি?”

উত্তরিলা বিভীষণ; ”নিশার স্বপন

নহে এ,বৈদেহী-নাথ,কহিনু তোমারে।

কালনেমি নামে দৈত্য বিখ্যাত জগতে

সুরারি,তনয়া তার প্রমীলা সুন্দরী।

মহাশক্তি-সম তেজে;দম্ভোলি-নিক্ষেপী

সহস্রাক্ষে যে হর্ষ্যক্ষ বিমুখে সংগ্রামে,

সে রক্ষেন্দ্রে,রাঘবেন্দ্র,রাখে পদতলে

বিমোহিনী,দিগম্বরী যথা দিগম্বরে;”

লঙ্কার কনক-দ্বারে উতরিলা সতী

প্রমীলা। বাজিল শিঙ্গা,বাজিল দুন্দুভি

ঘোর রবে;গরজিল ভীষণ রাক্ষস,

প্রলয়ের মেঘ কিম্বা করীযুথ যথা;

উচ্চৈস্বরে কহে চন্ডা নৃ-মুন্ডমালিনী;—

”কাহারে হানিস্ অস্ত্র,ভীরু,এ আঁধারে?

নহি রক্ষোরিপু মোরা, রক্ষঃ-কুল-বধূ,

খুলি চক্ষুঃ দেখ চেয়ে।” অমনি দুয়ারী

টানিল হুড়ুকা ধরি হুড় হুড় হড়ে;

বজ্রশব্দে খুলে দ্বার। পশিলা সুন্দরী

আনন্দে কনক লঙ্কা জয় জয় রবে।



==========

nazrul

No comments :




 আপন - পিয়াসী।

- কাজী নজরুল ইসলাম


আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন

খুঁজি তারে আমি আপনায়,

আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্বনি

আমারি তিয়াসী বাসনায়।।



আমারই মনের তৃষিত আকাশে

কাঁদে সে চাতক আকুল পিয়াসে,

কভু সে চকোর সুধা-চোর আসে

নিশীথে স্বপনে জোছনায়।।



আমার মনের পিয়াল তমালে হেরি তারে স্নেহ-মেঘ-শ্যাম,

অশনি-আলোকে হেরি তারে থির-বিজুলি-উজল অভিরাম।।



আমারই রচিত কাননে বসিয়া

পরানু পিয়ারে মালিকা রচিয়া,

সে মালা সহসা দেখিনু জাগিয়া,

আপনারি গলে দোলে হায়।।


ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

- কাজী নজরুল ইসলাম

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,

তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।



তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ

দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ



আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে

যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।



আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,

তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।



যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী

সেই গরিব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ



ঢাল হৃদয়ের তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,

তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।



তোরে মারল' ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা

সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।


অকূল তুফানে নাইয়া কর পার

- কাজী নজরুল ইসলাম

অকূল তুফানে নাইয়া কর পার

পাপ দরিয়াতে ডুবে মরি কান্ডারি

নাই কড়ি নাই তরী প্রভু পারে তরিবার।।

থির নহে চিত পাপ-ভীত সদা টলমল

পুণ্যহীন শূন্য মরু সম হৃদি-তল নাহি ফুল নাহি ফল

পার কর হে পার কর ডাকি কাঁদি অবিরল

নাহি সঙ্গী নাহি বন্ধু নাহি পথেরি সম্বল।

সাহারায় নাহি জল

শাওন বরিষা সম তব করুণার ধারা

ঝরিয়া পড়ুক পরানে আমার।।


মেকআপের সাথে সুন্দর মানানসই

No comments :

 


ভ্যালেন্টাইন ডে ও ফাল্গুনের পারফেক্ট হেয়ার স্টাইল একইসাথে!

মেকআপের সাথে সুন্দর মানানসই হেয়ার স্টাইল না হলে সাজটা যেন অপূর্ণই থেকেই যায়! মেয়েদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশে হেয়ার স্টাইল অন্যতম। সিম্পল একটি স্টাইলও আপনার ব্যক্তিত্বকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। এই ভ্যালেন্টাইন ডে এবং ফাল্গুন উপলক্ষ্যে আজকে আমরা দেখবো এমনই কিছু সিম্পল পারফেক্ট হেয়ার স্টাইল যা সব ধরনের চুলেই করা সম্ভব। তবে চলুন দেখে নেই, কীভাবে আপনি বাসায় বসে নিজে নিজেই এই হেয়ার স্টাইলগুলো করতে পারেন……..

zzz

No comments :

 









6kijyrket

No comments :

 ,yksdm

tu,l xcdl












drytkitsyktu

rtjrzftk

DShSDEH












HSWERJry








qewyhgaetj
















zaewrjurt















RESWfjt